Skip to content

চট্টগ্রামে গ্যাস-সংকট এখনো কাটেনি

চট্টগ্রামে গ্যাস-সংকট এখনো কাটেনি

গ্যাস নিয়ে চট্টগ্রামে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। এলএনজি সরবরাহ চালু হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রাম জাতীয় গ্রিডের বাইরে রয়েছে। ফলে সংকটের সময়ও চট্টগ্রামের সঙ্গে ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের সঞ্চালন লাইন থাকলেও জাতীয় গ্রিড থেকে গ্যাস মিলছে না। অথচ ঘূর্ণিঝড় মোখার পর এলএনজি সরবরাহ সীমিত পরিমাণে চালু হলেও এখানে সংকট রেখে এলএনজি দেশের অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল সকাল থেকে মহেশখালী থেকে ২৭০ মিলিয়ন এলএনজি সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে চট্টগ্রামে ১৫০ মিলিয়ন বরাদ্দ দিয়ে বাকি ১২০ মিলিয়ন অন্যত্র এলএনজি চালু হলেও চট্টগ্রামে গ্যাস-সংকট কাটেনি। এখনো বিদ্যুৎকেন্দ্র, সার কারখানা, সিএনজি ফিলিং স্টেশন, ক্যাপটিভ পাওয়ার চালু করা যায়নি। সকালে গ্যাস সরবরাহ চালু হলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত আবাসিক, বাণিজ্য ও শিল্পে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরেনি। গ্যাসচালিত গণপরিবহনের গাড়ি, প্রাইভেট গাড়ি ও সিএনজি অটোরিকশায় গ্যাস পাওয়া যায়নি। ফলে গতকালও সারা দিন নগরীতে গণপরিবহনের সংকট বিরাজ করছে। সড়কে গাড়ি সংকটে কর্মজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। গাড়ি-সংকটে সিএনজি অটোরিকশাগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করেছে। সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও গ্যাস মেলেনি। জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (এলএনজি) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম মজুমদার ইত্তেফাককে বলেন, এখন একটি টার্মিনাল থেকে ২৭০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। এলএনজিবাহী কার্গো ঘূর্ণিঝড়ের আগে গভীর সমুদ্রে রাখা হয়েছিল। এখন কার্গো নিয়ে আসা হচ্ছে। এতে আগামীকাল বুধবার থেকে দৈনিক ৪৫০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ দেওয়া যাবে।’

গত শনিবার থেকে তিন দিন গ্যাসবিহীন ছিল চট্টগ্রাম। এই সময়ে চট্টগ্রাম ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ ছিল। কিন্তু সংকটের সময় জাতীয় গ্রিড থেকে এক ফোঁটা গ্যাস চট্টগ্রামে সরবরাহ দেওয়া হয়নি।  জানতে চাইলে জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম-বাখরাবাদ পাইপ লাইনে টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে জাতীয় গ্রিড থেকে চট্টগ্রামে সরবরাহ দেওয়া যায়নি। কারণ চট্টগ্রামে পৌঁছানোর আগেই কুমিল্লা, ফেনী ও মহাসড়কের পাশে থাকা গ্রাহকরা পাইপ লাইন থেকে গ্যাস নিয়ে নেবেন।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (বিপণন দক্ষিণ) বলেন, চট্টগ্রামে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। সার কারখানা ও বিদ্যুেকন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ দেওয়া যাচ্ছে না। পাইপ লাইনে চাপ স্বাভাবিক থাকবে।

চট্টগ্রামে গ্যাস-সংকট দীর্ঘদিনের। বর্তমানে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। তার মধ্যে ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বরাদ্দ পাওয়া গেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক রাখা যায়। চট্টগ্রাম শিল্প এলাকা। এখানে গ্যাসের কারণে অনেক শিল্পকারখানা চালু করা যাচ্ছে না।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আমি কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির এমডির সঙ্গে চট্টগ্রামের গ্যাস-সংকট নিয়ে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, আজ মঙ্গলবারের মধ্যে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। আমরা চাই যে চট্টগ্রামে গ্যাস নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে না হয়। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সাময়িক সমস্যা হয়েছে।



বার্তা সূত্র