কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থেকে অপহৃত ১৬ বছরের এক কিশোরিকে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। অপহরণের সাথে জড়িত ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে র্যাব-৭ এর মিডিয়া বিভাগ থেকে এই তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাওয়াল করিম (২২) ও তার বাবা বশির আহাম্মেদ (৫০)। র্যাব জানিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত সাওয়াল করিমের এটি তৃতীয় অপহরণের ঘটনা। এর আগে সে আরও দুই নাবালিকাকে অপহরণ করেছিলো।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার জানান, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার স্কুলছাত্রী ১৬ বছরের এই কিশোরীকে প্রায় সময়ই স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো গ্রেপ্তারকৃত সাওয়াল করিম। এই কিশোরী ঘটনাটি তার অভিভাবকদের জানালে উত্যক্তকারী অভিভাবকদেরও হুমকি দেয় তাদের কন্যাকে একদিন অপহরণ করে নিয়ে যাবে। গত ১ জুন কিশোরীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সাওয়াল করিম ও অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন আসামির সহযোগিতায় কিশোরীকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসযোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অপহরণ ও মামলার পর ঘটনার ছায়া তদন্ত ও অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে র্যাব-৭।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুন র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি দল চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বাংলাবাজার থেকে সাওয়াল করিম ও তার বাবা বশির আহমেদকে আটক করে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব জানায়, সাওয়াল করিম এর আগেও একাধিক অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে। সাওয়াল করিম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সে গত ২০১৮ সালের শুরুর দিকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৩ বছর বয়সী একটি নাবালিকা মেয়েকে এবং একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পুনরায় আরেকজন নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করেছিলো। সর্বশেষ গত ১ জুন ২০২৩ সে তৃতীয়বার এই কিশোরীকে অপহরণ করে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।