Skip to content

গ্যাস কিনতে পারলে লোডশেডিং দূর হবে: প্রধানমন্ত্রী

গ্যাস কিনতে পারলে লোডশেডিং দূর হবে: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি জানি এই গরমে অনেকের কষ্ট হচ্ছে। আমরা তো লোডশেডিং সম্পৃর্ণ দূর করে দিয়েছিলাম।কিন্তু ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ যদি না হতো, করোনাভাইরাস দেখা না দিত আর যদি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা না দিতো, মুদ্রাস্ফীতি দেখা না দিতো, তাহলে কোনো কষ্ট হতো না। তবুও সুখবর যে কাতার এবং ওমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়ে গেছে। আমরা আরও কয়েকটা দেশের সঙ্গে করছি। আমরা যদি গ্যাস কিনতে পারি, আনতে পারি তাহলে এই কষ্ট দূর করতে পারব।

শনিবার (৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকার ট্রাক স্ট্যান্ডের উত্তর পাশে এ কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তেজগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ভবনেই ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় নির্মাণ করার অনুমতি প্রদান করেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিজস্ব ঠিকানা পেল ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলের আসার পথে নেতাকর্মীরা গণভবন থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান। একইসঙ্গে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের নিজস্ব কার‌্যালয়ও ওই ভবনে হবে বলে ঘোষণা দেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।

এরইমধ্যে বিশ্বব্যাপী খাদ্য মন্দা দেখে, আমি আহ্বান করেছি কারও যেন এক ইঞ্চ জমি অনাবাদি না রেখে চাষাবাদ করার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি জানি এই মুদ্রাস্ফীতি শুধু আমাদের দেশে না। বিদেশে থেকে সার কিনতে হয়, তেল কিনতে হয়, গ্যাস কিনতে হয়। গম কিনতে হয়, অনেক ওষুধ কিনতে হয়। যার ফলে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়েছে। আমাদের বাজেটেও চাপ পড়ে। রিজার্ভেও চাপ পড়ে। সেটি সহনশীল করার জন্য আমার দেশের মানুষের খাদ্যের কষ্ট যেন না হয় আমরা এই আহ্বান জানিয়েছে যার যেখানে এতোটুকু জমি আছে কিছু না কিছু উৎপাদন করবেন।’

আমি কিন্তু গণভবন খামারবাড়ি করে ফেলেছি বলে জানান এবং সেখানে সবকিছু উৎপাদন হয়। সেটি আমরা করতে পারি। পাশাপাশি গোপাপগঞ্জে বাপ-দাদার জমিতে দুই মণের অধিক ধান পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ শতভাগ দিতে পেরেছি। কিন্তু এখন তেলের দাম বেড়ে গেছে। গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে। কয়লার দাম বেড়ে গেছে। আবার কয়লাও পাওয়া যাচ্ছে না। আগে একসময় যারা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা করে বেড়াচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে তারাই এখন আবার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে। যার জন্য আমাদের সেই কিনে আনতে সমস্যা হচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি যে এই বিদ্যুৎ একবার মানুষের যদি অভ্যাস হয়ে যায়, তারপর যদি বিদ্যুৎ না থাকে মানুষের কষ্টটা বাড়ে। আর বিএনপি-জামায়াতের সময় যে ছিলই না। তখন তো মানুষ হাহাকার করত। আর এই বিদ্যুৎ চাওয়ার কারণে সেই কানসাটে খালেদা জিয়া গুলি করে মানুষ হত্যা করেছিল। সারের দাবি করেছিল বলে প্রায় ১৮ জন কৃষক হত্যা করেছিল। মজুরি দাবি করেছিল বলে ১৭ জন শ্রমিককে রোজার সময় হত্যা করেছিল।’

পরে উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এবং সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

সারাবাংলা/এনআর/একে



বার্তা সূত্র