Thursday, February 13, 2025

সপ্তাহে শীর্ষে

প্রাসঙ্গিক বার্তা

গারো পাহাড়ে তীর্থ উৎসব ঘিরে আনন্দ-উচ্ছ্বাস

‘সিনোডাল-মণ্ডলীতে মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণকর্মে ফাতেমা রানী মা মারিয়া’– এই মূল সুরের ওপর ভিত্তি করে শেরপুরের গারো পাহাড়ে ২৬ ও ২৭ অক্টোবর শুরু হতে যাচ্ছে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের দুই দিনব্যাপী ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব। এ উৎসবকে সামনে রেখে বৃহত্তর ময়মনসিংহের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে বইছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস। ইতোমধ্যে বার্ষিক এ তীর্থ উৎসবের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আয়োজকদের আশা, লাখো পুণ্যার্থীর মিলন ঘটবে এই উৎসবে।

আয়োজক কমিটির তথ্য মতে, বারমারি সাধু লিওর ধর্মপল্লিতে ১৯৯৮ সাল থেকে ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের এই ধর্মপল্লিটি। প্রতি বছর অক্টোবরের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব। শুধু শেরপুর নয়, দেশ-বিদেশের প্রায় লাখো পুণ্যার্থী অংশ নেয় এই তীর্থযাত্রায়। তীর্থ উৎসবে মহাখ্রিষ্টযাগ, গীতি আলেখ্য, আলোর মিছিল, নিশিজাগরণ, নিরাময় অনুষ্ঠান, পাপ স্বীকার, জীবন্ত ক্রুশের পথসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
তীর্থ উৎসবের সমন্বয়কারী রেভারেন্ট ফাদার তরুণ বনোয়ারি বলেন, ধর্মীয় চেতনায় দেশি-বিদেশি হাজার হাজার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসবে অংশ নিয়ে থাকেন। প্রতি বছর বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালিত হওয়ায় বর্তমানে এটি আন্তর্জাতিক মহাতীর্থস্থান হিসেবে রূপ পেতে যাচ্ছে। ভক্তদের আগমন বাড়ায় বর্তমানে এই তীর্থস্থানে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৮ ফুট উচ্চতার ফাতেমা রানীর মা মারিয়ার মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছে। এই স্থানটি খ্রিষ্টভক্তদের জন্য একটি পবিত্র ধর্মীয় স্থান। এখানে এসে তাদের ধর্মীয় অনুভূতি জাগরিত করে প্রার্থনা করেন।

রেভারেন্ট ফাদার তরুণ বনোয়ারি জানান, এবারের তীর্থ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা ধর্ম প্রদেশের ফাদার টমাস মানকিন।
এএসপি (নালিতাবাড়ী সার্কেল) দিদারুল ইসলাম বলেন, উৎসবকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।



বার্তা সূত্র

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

পাঠক প্রিয়