ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় আদিবাসীদের উচ্ছেদ ও কৃষিজমি দখলের অভিযোগ তুলে রাজধানীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
শাহবাগে শনিবার ‘ঢাকাস্থ রায়পুরের জনগণ ও আদিবাসী ছাত্র-যুব সংগঠনসমূহ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল শেষ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে।
পরে আদিবাসী যুব ফোরামের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানববন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশের আদিবাসীদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক উজ্জ্বল আজিম।
এসব সমস্যা সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনার দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, “আদিবাসীদের মূল সমস্যা ভূমিকেন্দ্রিক। ভূমি সমস্যা সমাধানের জন্য আদিবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন দাবি করে আসছে।
“আদিবাসীদের সমস্যাকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে যথাযথ কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।”
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য রিপন বানাই বলেন, “আমরা সব ধরনের বৈষম্য দূর করতে চাই। এজন্য নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ প্রক্রিয়ায় আমরা আদিবাসীরা যুক্ত হতে চাই।”
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপন ত্রিপুরা বলেন, “পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে একত্রে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে আসছেন। ভূমি দখলকারী ও বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীরা সরকারের চেয়ে বেশি ক্ষমতাবান নয়। শুধু সরকারের সদিচ্ছার অভাবে এতদিন আদিবাসীদের উপর নিপিড়নের ঘটনা চলমান ছিল।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রায়পুর গ্রামের বাসিন্দা হেপসন দালবত। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের সভাপতি আন্তনী রেমা, বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের অর্থ সম্পাদক অনন্যা দ্রং, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্যাট্রিক চিসিম, গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশন ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি নিপুল মং, গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়নের শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক জানকি চিসিম, বাগাছাস ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক তেনজিং ডিব্রা।