Thursday, January 16, 2025

সপ্তাহে শীর্ষে

প্রাসঙ্গিক বার্তা

গাজীপুরে কেয়া গ্রুপের চার কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধের ঘোষণা

গাজীপুর মহানগর এলাকার কেয়া গ্রুপের ৪ পোশাক তৈরি কারখানা স্থায়ীভাব বন্ধ ঘোষণা করেছে কতৃপক্ষ। আগামী ১ মে থেকে ওই কারখানা ৪টি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে বাজার অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সাথে হিসাবের অমিল, কাঁচামাল অপর্যাপ্ততা এবং ফ্যাক্টরীর উৎপাদন কার্যক্রমের অপ্রতুলতা।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চেয়ারম্যান কেয়া কসমেটিকস্ লিমিটেড (নীট কম্পোজিট ডিভিশন) স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে কারখানার প্রধান ফটকে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ‘এতদ্বারা কেয়া কসমেটিকস্ লিমিটেড (নীট কম্পোজিট গার্মেন্টস ডিভিশন, নিটিং বিভাগ, স্পিনিং ডিভিশন, কটন ডিভিশন) ও কেয়া ইয়ার্ন মিলস্ লিঃ (জরুন, কোনাবাড়ি, গাজীপুর) এর সকল শ্রমিক ও কর্মকর্তাগনের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান বাজার অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সাথে হিসাবের অমিল, কাঁচামাল অপর্যাপ্ততা এবং ফ্যাক্টরীর উৎপাদন কার্যক্রম এর অপ্রতুলতার জন্য আগামী ১লা মে ২০২৫ইং তারিখ থেকে ফ্যাক্টরীর সকল কর্যক্রম স্থায়ী ভাবে বন্ধ ঘোষনা করা হলো।

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, ‘ফ্যাক্টরীতে কর্মরত সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, ধারা (২৬) শ্রী ২০১৫, ২০১৮ এবং ২০২২ এর বিধি অনুযায়ী সকল পাওনাদী কারখানা বন্ধের পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) কর্ম দিবসের মধ্যে প্রদান করা হবে।’

এর আগে ২৯ ডিসেম্বর থেকে জরুন এলাকায় অবস্থিত কেয়া গ্রুপের শ্রমিকরা নভেম্বর বকেয়া বেতন দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতী পালন করছেন। কয়েক হাজার শ্রমিক কারখানার সামনে কোনাবাড়ি কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। সেদিন শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে বন্ধের নোটিশ পেয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কোনাবাড়ি ফ্লাইওভার পাশে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

শ্রমিকরা ২৯ ডিসেম্বর  থেকে নভেম্বর মাসের বকেয়া বেতনসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করে। পরে যৌথ বাহিনীর সহয়তায় মালিক শ্রমিক পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে দাবি গুলো মেনে নেয় মালিক পক্ষ। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাময়িক বন্ধ থাকার কারখানা ১ জানুয়ারি কারখানা খুলে দেয়।পরে নতুন করে ওই বন্ধের  নোটিশ দেন কর্তৃপক্ষ।

কারখানা কতৃপক্ষ জানান, বাজার অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সাথে হিসাবের অমিল, কাঁচামাল অপর্যাপ্ততা এবং ফ্যাক্টরীর উৎপাদন কার্যক্রমের অপ্রতুলতা কারণ দেখিয়ে আগামী ১ মে থেকে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকটি ধাপে শ্রমিকদের সকল পওনা শ্রম আইন অনুযায়ী পরিশোধ করবেন বলেও জানানো হয়েছে।

সূত্র লিংক

পাঠক প্রিয়