Skip to content

গণমাধ্যমের ওপর মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর উদ্বেগ 

গণমাধ্যমের ওপর মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর উদ্বেগ 

দেশের গণমাধ্যমের ওপর মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপর ভিসানীতি প্রয়োগের যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এটি বিপথগামী সিদ্ধান্ত।”

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর পাঠানপাড়ার শিমুল তলা মোড়ে মহানগর ও জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র কাকে ভিসা দেবে কিংবা দেবে না তাতে কিছু আসে যায় না। কিন্তু গণমাধ্যমকে ভিসানীতিতে আনা হলে তা হবে স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর অন্য দেশের হস্তক্ষেপ।”

তিনি বলেন, “স্বাধীন ও শক্তিশালী গণমাধ্যম সবসময় গণতন্ত্রের সহায়ক। দেশের গণমাধ্যম স্বাধীন ও শক্তিশালী এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে। সাংবাদিক, কলামিস্টসহ যারা গণমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত তারা মনে করেন মার্কিন ভিসানীতি স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “অন্য কোনো দেশের আমাদের স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ করা সমীচীন নয়। এটি গণমাধ্যমের কর্মীরা, গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মেনে নিতে পারে না। আশা করব, তারা বিষয়টি ব্যাখ্যা করবেন।”

তিনি বলেন, “বিএনপি বলছে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারে না। ক্ষমতায় থাকতে দেব না। এতো সহজ নয়। আপনারা ভাবছেন এইভাবে লাফালাফি করেই ক্ষমতায় যেতে পারবেন। আজকে ভূ-রাজনীতিতে বিএনপি হচ্ছে ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা। যারা বাতাস দিয়ে দিয়ে আপনাদের লাফাচ্ছে, তারা আপনাদের দুধ দেবে না। ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চারা যেমন দুধ পায় না। আপনারাও তেমন দুধ পাবেন না। সুতরাং অতো লাফালাফি করে লাভ নেই।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে শুধুমাত্র দেশ পরিবর্তন হয়েছে তা নয়, তিনি দেশের মানুষের ভাগ্যেরও পরিবর্তন করেছেন। দেশ যখন বদলে গেছে, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। বাংলাদেশ যখন এভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তারেক জিয়া আবার ভবন, খোয়াব ভবন তৈরি করবেন। সারাদেশে ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা হয়েছিল, এবার ৫,০০০ জায়গায় বোমা হামলা হবে। রাজশাহীর বাগমারায় বাংলা ভাইয়ের উত্থান হয়েছিল, এবার সারাদেশে বাংলা ভাই হবে। বাংলাদেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তানের পর্যায়ে চলে যাবে।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি আমাদের বলেছে, ‘আগামী মাসে ফাইনাল খেলা হবে।’ আমরা ফাইনাল খেলার জন্য প্রস্তুত আছি। তবে ফাইনাল খেলার আগে আপনাদের খেলোয়াড়রা দল বদল করেন কী-না বিএনপির ভাইয়েরা সেদিকে খেয়াল রাখবেন।”

তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা বুকের রক্ত ঢেলে সব ষড়যন্ত্র, চোখ রাঙ্গানোকে উপড়ে ফেলে দেশকে স্বাধীন করে ছিল। আজকেও কেউ কেউ চোখ রাঙ্গায়। এটি শেখ হাসিনা। যার ধ্বনির শিরায় বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহবান। যে রক্ত আপস মানে না। যে রক্ত রক্তচক্ষুর সামনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়- সেটি হচ্ছে শেখ হাসিনা। ১৪ সালেও ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বলেছিল নির্বাচন করলো। একমাসও টিকবে না। আমরা পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। ১৮ সালেও ষড়যন্ত্র হয়েছিল। নির্বাচন করার পরে বিএনপি বলেছিল, টান দিয়ে ফেলে দেব। খালেদা জিয়া জেলে থাকলেও তার ও তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আন্দোলন করেছিল। টান দিতে গিয়েই তারাই রশি ছিঁড়ে পড়ে গেছে।”



বার্তা সূত্র