গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার পাচঁলক্ষি কালামপুর এলাকায় রঞ্জিত চন্দ্র র্বমণ (৪০) নামের এক আদিবাসী কোচঁ সম্প্রদায়ের বাড়ি বন বিভাগের র্কমচারীদের দ্বারা ভাংচুড়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কোচ আদিবাসী ও স্থানীয়রা।
শুক্রবার (২৬ শে মে ) সকালে বাংলাদেশ কোচ আদিবাসী সংগঠন,ছাত্র ,যুব ও মহিলা সংগঠনের আয়োজনে কালামপুর র্সাবজনিন মন্দির কমিটির সভাপতি কোচ বাদল বর্মন এর সভাতিত্বে ও পৌর আদিবাসী নেতা কোচ সুমিত কুমারের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে এসময় বক্তব্য রাখেন কোচ আদিবাসী সংগঠনের কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি সন্যাসী রমেস কুমার কোচ,সাধারন সম্পাদক রুবেল মন্ডল কোচ,কেন্দ্রীয় যুব সংগঠনের যুগ্ন আহবায়ক গোপাল চন্দ্র কোচ সহ প্রমুখ ।এসময়ে মানববন্ধনে প্রায় ৩ শতাধিক গ্রামবাসী অংশ নেয় ।
বক্তারা বলেন বংশ পরমপরায় কালামপুর পাচঁলক্ষি গ্রামে কোচ আদিবাসী প্রায় ৫০০(পাঁচশত) পরিবার বসবাস করে আসছেন ।অধিকাংশ কোচ আদিবাসীরা দরিদ্র ও অসহায় এরা সরকারী বনের জমিতে বংশ পরম্পরায় বসবাস করে বন বিভাগের জমি দেখাশোনা করে আসছে। এদের অনেকের নামে বনের প্লট বরাদ্দ আছে । পাশেই স্থাপিত হয়েছে এপেক্স ফ্যাশন ওয়্যার নামের তৈরি পোষাক কারখানা ।
তার দেয়াল ঘেষে প্রায় ১০০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন রঞ্জিত ও তিনটি পরিবার। বছর কয়েক আগে কারখানা তৈরি হওয়ার পর থেকে নানা ভাবে হয়রানি করে আসছে কারখানা কর্তৃপক্ষ ।ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ কারখানার সাথে হাত মিলিয়ে বন বিভাগের র্কমর্কতারা গতকাল (২৫ মে ) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬ টার দিকে বন বিভাগের লোকেরা তাদের থাকার একটি ঘর ভাংচুড় করে ও দ্রæত বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি প্রদান ও মামলা করবে বলে জানান ভুক্তভোগী কোচ বিউটি রানী ।এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করে রঞ্জিত সহ এলাকাবাসী । মানববন্ধনে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী চন্দ্রা রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্মকর্তার বিচার দাবি করেন।
ভুক্তভোগী রঞ্জিত বলেন, আমরা প্রায় ১০০ বছর ধরে এই গ্রামে বসবাস করে আসছি আমরা নিতান্তই অসহায় তাই সরকারী জমিতে বসবাস করে আসছি । ঐ কারখানা কতৃপক্ষ তাদের স্বার্থে আমাদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের দিয়ে ভাংচুর চালায় ।আমরা গরীব মানুষ এখন আমরা কোথায় যাবো । আমাদের পুরনো এই ঘর কেনো ভাঙা হলো আপনাদের মাধ্যমে সরকারের কাছে উপযুক্ত বিচার চাই। এ ব্যাপারে আরো বললো, আমরা উপজেলা র্নিবাহী র্কমর্কতা বরাবর একটা স্বারকলিপি দিবো । এ ব্যাপারে চন্দ্রা বিট কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মুঠোফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।
একুশে সংবাদ.কম/সম