“রাশিয়ায় গণমাধ্যম যে কঠোর নিয়মনীতির মধ্যে থাকে, সেই পরিস্থিতিতেও এই বৈপরীত্য ধরা পড়ে, যেখানে পুতিন জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া নজিরবিহীন ভাষণে নির্মম প্রতিরোধের অঙ্গীকার করছেন, অপরদিকে কিছুক্ষণ পরেই তার জুনিয়র অংশীদার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় একটি চুক্তিও করে ফেললেন। এটা দেশের ভেতরকার দর্শকদের ধরতে না পারার কথা নয়,” নিউজউইককে বলেছেন ভিতারবো।
বেলারুশে প্রিগোজিনের নির্বাসন আর বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হওয়া আইনি পদক্ষেপ তুলে নেওয়া ছাড়া ওই চুক্তিতে আর কী কী ছিল সে সম্বন্ধে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি।
তবে রাশিয়ায় প্রিগোজিনের উপস্থিতি এবং পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে মনে হচ্ছে চুক্তির বিস্তারিত নিয়ে কাজ এবং ভবিষ্যতে ওয়াগনারের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা এখনও চলছে, বলেছেন ম্যাসাচুসেটসের নর্থহ্যাম্পটনের স্মিথ কলেজের ইস্ট ইউরোপ অ্যান্ড ইউরেশিয়ান স্টাডিজের রাশিয়া বিষয়ক সহকারী অধ্যাপক টম রবার্টস।
“শত্রুদের প্ররোচিত করতে বা বিশ্বস্তদের পরীক্ষা নিতে নাটক সাজানো তো দূর পুতিন এই বিদ্রোহ ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আগেভাগে জানতেন সেটাই মনে হচ্ছে না, কেননা এটা রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের হাতের অনেক বাইরে ছিল,” বলেছেন তিনি।
ওয়াগনারের এই বিদ্রোহে রাশিয়ার বিমান ধ্বংস হয়েছে, রুশ সেনাবাহিনী ও ওয়াগনার উভয়েরই হতাহত হয়েছে।
“ইউক্রেইনে এমন ক্ষয়ক্ষতির পর পুতিন আর প্রিগোজিন মিলে রাশিয়ার ভেতর আরও মৃত্যু ও ধ্বংস ডেকে আনবেন- এমনটা অবিশ্বাস্য লাগছে আমার কাছে। প্রিগোজিন হয়তো ভেবেছিলেন রুশ সামরিক বাহিনী এবং এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ভেতর তার প্রতি ব্যাপক সমর্থন আছে, কিন্তু বিদ্রোহ চলাকালে সেটা দেখা যায়নি, কেউই তার সমর্থনে নেমে আসেনি,” বলেছেন আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক ফেলো মার্ক টেমনিসকি।
“হতে পারে পুতিন আর তার প্রতি অনুগতরা হামলার খবর জানতে পেরে তড়িৎগতিতে প্রিগোজিনকে সমর্থনকারীদের ক্ষমতা খর্ব করে ফেলেন। এটা ওয়াগনারকে হতভম্ব করে দেয়, কিন্তু সে সময় তাদের অভিযান অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছিল। প্রিগোজিন সম্ভবত ভেবেছিলেন, তিনি আর পেছনে ফিরতে পারবেন না,” বলেছেন তিনি।