এদিন পুণেতে লোকমান্য তিলক জাতীয় পুরস্কার পেলেন মোদি। আর সেই অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পওয়ার। লোকমান্য তিলক স্মারক মন্দির ট্রাস্ট আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। মোদি-পওয়ার ছাড়াও ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে, উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার, কংগ্রেস নেতা সুশীলকুমার শিণ্ডে। ছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল রমেশ বাইসও।
গত কয়েকদিন ধরেই এই অনুষ্ঠান ঘিরে নানা জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। প্রশ্ন উঠছিল, যেখানে ২০২৪ লোকসভার কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে মোদি সরকারের বিরোধিতায় একবগ্গা থাকার পরিস্থিতিতে পওয়ার-মোদির মঞ্চভাগ যে আমজনতার কাছে বিরোধীদের ভাবমূর্তিকেই নষ্ট করবে না? এমনকী, বিরোধী ঐক্যের জন্যও বিষয়টি মোটেই ভাল হবে না। তাই যেনতেন প্রকারেণ ‘মারাঠা স্ট্রংম্যান’কে নিরস্ত করাই লক্ষ্য ছিল তাঁদের।
আরও পড়ুন : আপনার এলাকায় কেমন থাকবে আবহাওয়া ? কি বলছে আবহাওয়া দপ্তর
আরও পড়ুন : আজ কেমন কাটবে আপনার দিন, জানুন আজকের রাশিফল
অনেকেই চাইছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে যেন পওয়ারকে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকতে অনুরোধ করেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত সব জল্পনাশেষে পওয়ার মোদির সঙ্গে মঞ্চভাগ করে নেওয়ায় অস্বস্তির কাঁটা রয়েই গেল। গত কয়েকদিন ধরে উঠতে থাকা প্রশ্নটা নতুন করে সামনে এসেছে। তাহলে কি আগাগোড়াই সবটা তলে তলে জানতেন শরদ? ভাইপোর এনডিএ-তে যোগদানের বিষয়টিতে সম্মতিও ছিল তাঁর? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিনের মঞ্চে পাওয়ারের হাসি দেখে শুধু কংগ্রেসই নয়, গোটা বিরোধী জোটই এবার ভয় পেতে শুরু করেছে। এটা এমন একটা সময় যখন বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীরা এখনও প্রযন্ত ঠিকমতো ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি। আসলে রাজনীতিতে হাসতে হাসতে, চড় মারারও একটা নিজস্ব অর্থ আছে। আজ শারদ পাওয়ার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একই মঞ্চে। পাওয়ারের নিজের দল ভেঙেছে, ক্ষমতা হারিয়েছে, অতীতে তিনি মোদির সমালোচনা করতেন, কিন্তু আজকের চিত্র ছিল ভিন্ন। মোদির সঙ্গে দেখা করার পর মন খুলে হেসেছেন পাওয়ারও।