বাংলাদেশর চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় নবনির্মিত ব্যক্তিমালিকানার এসএস পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করার চার দিনের মাথায় বন্ধ হয়ে গেছে। কয়লা সংকটের কারণে, বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাত ১০ থেকে ১১টার মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
এসএস পাওয়ারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাত ১০ থেকে ১১টার মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষামূলক উৎপাদনের চতুর্থ দিনেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এই সমস্যার মুখোমুখি হলো।”
জানা গেছে, ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার দুইটি ইউনিটের প্রথম ইউনিটে গত ২৪ মে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। প্রথম ইউনিটে পরীক্ষামূলকভাবে দৈনিক ১২০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছিলো।
সংশ্লিষ্টরা জানান যে গত বুধবার টর্নেডোর আঘাতে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইনে সমস্যা হলে, ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট এখনো পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন শুরু করতে পারেনি। এখন এসএস পাওয়ারের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে লোডশেডিং মোকাবেলায় বড় সংকটে পড়তে হবে।
এর আগে, কয়লা সংকটে গত ৫ জুন এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এর আগেই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এসএস পাওয়ারকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে অনুরোধ করেছিলো। এর পর ৪ জুন দিবাগত মধ্যরাতে উৎপাদনে আসে এসএস পাওয়ার। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৩০০ থেকে ৩৭৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।
এস এস পাওয়ারের উপ প্রকল্প পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “পিডিবির অনুরোধে আমরা গত ৪ জুন দিবাগত মধ্যরাত থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করছিলাম। কয়লার জোগান শেষ হয়ে যাওয়ায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০ থেকে ১১টার মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু না হলে কোনো লাভ নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমরা কয়লা পোড়ালে একই সঙ্গে অন্যান্য আনুষঙ্গিক যে খরচ হচ্ছে; তা আমরা পাবো না।এছাড়া, বাণিজ্যিক উৎপাদনে না আসা পর্যন্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে চাচ্ছি না। পিডিবির অনুরোধে তীব্র লোডশেডিং সামাল দিতে চালিয়েছিলাম। আর, আমাদের কয়লার মজুদও শেষ হয়ে গেছে।”
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা এলাকায় স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশের এস আলম গ্রুপ ও চীনের সেপকো থ্রির যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।