ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি পদে সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানকে নির্বাচিত করা হয় গত বছরের ২০ ডিসেম্বর। তারা দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং একজন উত্তরাঞ্চল ও আরেকজন দক্ষিণাঞ্চলের। এর সাত মাস পর গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয় ৩০১ সদস্যের কমিটি। এতে ১নং সহসভাপতি হন রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন আব্দুল্লাহ হীল বারী এবং ১নং সাংগঠনিক সম্পাদক হন আতিকা বিনতে হোসাইন। অভিযোগ উঠেছে, এ কমিটির পদ বণ্টনে একচ্ছত্র প্রাধান্য পেয়েছে ঢাবি। এ ছাড়া সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পর গুরুত্বপূর্ণ এ তিন পদের সবাই দেশের উত্তরাঞ্চলের। আঞ্চলিক প্রাধান্যের বাইরেও এই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন শিক্ষার্থী নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত, মামলার আসামি, ছিনতাইসহ নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে অভিযুক্তরা।
গত বৃহস্পতিবার কমিটি ঘোষণার পরপরই এতে ঢাবি প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু বিতর্কিতদের পদ পাওয়া জন্ম দিয়েছে আলোচনা-সমালোচনার। তবে ছাত্রলীগের নেতারা বলছেন, কমিটিতে আঞ্চলিকতা ছাড়াও বেশ কিছু বিতর্কিত বিষয় থাকলেও কমিটি ভালো হয়েছে। বড় সংগঠনের কমিটিতে নেতিবাচক কিছু থাকেই। তবে অপেক্ষাকৃত পরিচ্ছন্নদের জায়গা দেওয়া হয়েছে কমিটিতে। এ ছাড়া অনেকে নিষ্ক্রিয় থাকায় তুলনামূলক জুনিয়ররা ভালো পদ পেয়েছেন।
কেন্দ্রীয় কমিটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। যদিও আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক হিসেবে স্বীকৃত দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। ৩০১ সদস্যর কমিটিতে ১৩টি পদে জায়গা পেয়েছেন তারা। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সারা দেশের যোগ্য কর্মীদের নিয়ে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা থাকলেও এতে ঢাবিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। মোট ৩০১ সদস্যের কমিটির মধ্যে অন্তত ২২৮টি পদে মনোনীত হয়েছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ৭১ জন সহসভাপতি পদের মধ্যে ৫৭ জন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের। এ ছাড়া ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১১ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের সবাই ঢাবির। এ কমিটিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাত্র দুজন এবং রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাত্র দুজনকে পদ দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে মাত্র ১৩ জন সংখ্যালঘু ও ৩৪ জন নারীকে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কমিটি পূর্ণাঙ্গে বরিশাল ও উত্তরবঙ্গকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
কমিটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মোট ৩০১ সদস্যের কমিটির মধ্যে এ দুই অঞ্চল থেকে স্থান পেয়েছে ৯০ জন। ৭১ জন সহসভাপতির মধ্যে অন্তত ১৫ জন, ১১ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে অন্তত ৩ জন, ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে অন্তত ৬ জন, ৪০ জন সম্পাদকের মধ্যে অন্তত ১০ জন, ১৩৪ জন উপ-সম্পাদকের মধ্যে অন্তত ৪৩ জন বরিশাল ও উত্তরবঙ্গের। এ ছাড়া, ১৮ জন সহ-সম্পাদকের মধ্যে অন্তত ৬ জন এ দুই এলাকার। কেন্দ্রীয় কমিটির সবার আঞ্চলিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও অভিযোগ উঠেছে ছাত্ররাজনীতিতে দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় কিন্তু শীর্ষ দুই নেতা দায়িত্ব পাওয়ার পর ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন—এমন ব্যক্তিদের ভালো পদে পদায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশ এলাকায় বিভিন্ন সময়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও বিবাহিতরা ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এসব কারণে সংগঠনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ১নং সহসভাপতি করা হয়েছে রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে। অথচ দীর্ঘদিন তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ৩নং সহসভাপতি করা হয়েছে তাহসান আহমেদ রাসেলকে। যিনি ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সভাপতি থাকাকালীন দুই শিবির নেতাকে হল থেকে বের করে ফের একজনকে হলে তুলে সংগঠনকে বিতর্কিত করেন। এ ছাড়, পলাশীতে চাঁদাবাজি, তার অনুসারীদের দিয়ে ঢাবির ফুলার রোড এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ধার নেওয়া ক্যালকুলেটর ফেরত দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রফিক নামে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সহসভাপতি আল আমিন রহমান জাসদ ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার নেতা ছিলেন। ২০১৯ ছাত্রলীগ আয়োজিত পহেলা বৈশাখের কনসার্টে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসা দিবসে এক কনসার্ট আয়োজক কমিটির কাছে চাঁদা দাবি ও তা না দেওয়ায় ওই কনসার্ট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সহসভাপতি সানোয়ার পারভেজ পুলক ছাত্রলীগ থেকে সাবেক হওয়ার পর যুবলীগে যোগ দেন। যুবলীগে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় তিনি ঠাকুরগাঁও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। সহসভাপতি শাহজালালের বিরুদ্ধে ঢাবির রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্বীকে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলা চলমান রয়েছে। সহসভাপতি আব্দুল আলিম খান ছাত্রলীগের রাজনীতি ছেড়ে দীর্ঘদিন সরকারি চাকরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে নিজ এলাকায় গিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সাদ্দাম দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে চার শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে বর্তমান সহসভাপতি পদ পাওয়া সাইফুল্লাহ আব্বাসী অনন্ত ও সুরাপ মিয়া সুহাগের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া সহসভাপতি শরিফুল আলম শপুর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতন ও জোরপূর্বক রুম দখলের অভিযোগ রয়েছে। সহসভাপতি নুরে আলম আশিক ও আপ্যায়ন সম্পাদক শেখ মো. তুনান বিবাহিত—এমন দাবি করছেন অনেকে।
এ ছাড়া সহসভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার বিরুদ্ধে ২০২২ সালে দুই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও রিভার বিরুদ্ধে সিট বাণিজ্য ও শিক্ষার্থী নির্যাতন এবং ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে পেটানোর অভিযোগ রয়েছে। সহসভাপতি উৎপল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে সরঃস্বতী পূজায় জগন্নাথ হল মাঠে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে। উৎপল বিশ্বাস এবং সহসভাপতি মো. শাহেদ খান ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল বারী দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। সক্রিয় হয়েই তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। ঢাবির বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুসের বিরুদ্ধে কর্মীদের দিয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। আর বাইক বহরের সামনে দিয়ে ইউটার্ন করা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ঢাবির এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে সাংগঠনিক সম্পাদক অতনু বর্মণের বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সিনিয়র কর্মীদের বাদ দিয়ে জুনিয়র কর্মীদের আগে পদায়ন করা হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদক সিয়াম রহমান, হাসিবুল হোসেন শান্ত ও তানভীর শিকদারের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে তানভীর শিকদার বিরুদ্ধে পলাশীর এক ফলের দোকানদারের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি ও ক্রীড়া সম্পাদক মেহেদী হাসান শান্তর বিরুদ্ধে হলের অভ্যন্তরে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মো. মিশাত সরকারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মো. রিয়াজুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুনের বিরুদ্ধে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া, তাদের বিরুদ্ধে চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় নীলক্ষেত মোড়ে চারটি লেগুনা ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে।
আনন্দ বাজারের দোকান মালিকদের থেকে এককালীন ১০ লাখ ও প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবির অভিযোগ রয়েছে উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক এনায়েত এইচ মনন ও উপ-বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক এমদাদুল হাসান সোহাগের বিরুদ্ধে।
উপ-পাঠাগার সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে ইডেন কলেজে সিট বাণিজ্য ও শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। হলের সিট বাণিজ্য নিয়ে অভিযোগ করায় ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে মারধর ও হেনস্তা করেন রাজিয়া সুলতানা। সেসময় মারধরের সহযোগী ছিল ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা। উপ-স্কুল ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক তানজিন এ আলামিন ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) নারীদের জন্য নির্ধারিত ওয়াশরুমে ঢুকে মদ্যপ অবস্থায় এক নারীকে হয়রানি করেছিলেন। ওষুধ না পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের এক ফার্মেসির কর্মচারীকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনের অভিযোগ রয়েছে উপ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. আমির হামজার বিরুদ্ধে। উপ-উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবনবিষয়ক সম্পাদক শারমিন সুলতানা সনি ও উপ-সাহিত্য সম্পাদক আকলিমা আক্তার প্রভাতীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চাঁদা না দেওয়ায় শেখ হাসিনা হলের সংস্কারকাজ বন্ধ রেখেছিলেন তারা। উপ-সাহিত্য সম্পাদক হাবিবুন্নেসা সাইমুনের বিরুদ্ধে সিট বাণিজ্য, শিক্ষার্থী থেকে হল চার্জ আদায় করে হল প্রশাসনকে না দেওয়া, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে ছাত্রীদের দেওয়া সাইকেল কবজায় নেওয়া, ছাত্রলীগের বিভিন্ন বড় অনুষ্ঠানে মেয়েদের জন্য উপহারের শাড়ি অনুষ্ঠানের পর ফেরত নিয়ে বিক্রি করাসহ একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছিলেন।
এসব বিষয়ে এক ছাত্রলীগ নেতা কালবেলাকে বলেন, পদ পেয়েছি এটাই অনেক। না দিলে কিছু করার ছিল না। রাজনীতি তো করতে হবে। অনেক সিনিয়রকে বাদ দিয়ে জুনিয়রকে পদ দেওয়া হয়েছে। এলাকার কর্মীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এসব মন্তব্য করে কোনো লাভ হবে না।
বর্তমান কমিটিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক পদ পাওয়া ফাল্গুনী দাস তন্বী কালবেলাকে বলেন, আমি হলে এজিএস ছিলাম। আমাকে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে এমন বলা হয়েছিল। আমার কর্মীদের আমার চেয়ে ভালো পদ দেওয়া হয়েছে। আমার পদ দেখে আমি অবাক হয়েছি। আমার কিছু বলার নাই। আমি রাজনীতি করব। হয়তো অন্য প্ল্যাটফর্মে। আমি কয়েকদিনের মধ্যে পদত্যাগ করব।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান কালবেলাকে বলেন, সৃষ্টির শুরু থেকে আজ অবধি ছাত্রলীগ একটি গোছানো এবং সুশৃঙ্খল ছাত্র সংগঠন। এই সংগঠনে কোনো বিতর্কিতের ঠাঁই হবে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে বলতে চাই, অত্র কমিটিতে কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ থাকলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে অভিযোগ দিয়ে ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীকে হেয় করার সুযোগ নেই।