Thursday, February 13, 2025

সপ্তাহে শীর্ষে

প্রাসঙ্গিক বার্তা

ইসরায়েল হামাসের সঙ্গে জিম্মি চুক্তিতে সম্মত

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা ভূখণ্ডে হামাস কর্তৃক আটক জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো গিয়েছে; এর ফলে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি বাধা কেটে গেল। দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধ করাই এই চুক্তির লক্ষ্য ও অভিপ্রায়।

প্রধানমন্ত্রীর দফতর শুক্রবার সকালে এক বিবৃতিতে বলেছে, নেতানিয়াহুকে “সমঝোতাকারী দল জানিয়েছেন যে, জিম্মিদের মুক্তির শর্তে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো গিয়েছে।”

এই চুক্তিতে ভোট দিতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা শুক্রবার বৈঠক করেছে। চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে শুক্রবার পরের দিকে বৈঠক করতে চলেছে ইসরায়েলের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা।

যদি অনুমোদিত হয়, তাহলে রবিবার এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হবে; ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের ফেরানো হবে। এরপর, সংঘাতের স্থায়ী সমাপ্তির শর্তগুলি চূড়ান্ত করা হবে।

বৃহস্পতিবার দুটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল যা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-মুক্তির প্রাথমিক ধাপকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিল।

প্রথমত, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অভিযোগ করেছিলেন, চুক্তির একাধিক শর্ত থেকে পিছু হটছে হামাস।

নেতানিয়াহুর দফতর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, হামাস “শেষ মুহূর্তে ছাড় আদায়ের” চেষ্টা করছে।

অল্প সময় পরে হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা ইজ্জাত আল-রিশক সেই দাবিকে অস্বীকার করে বলেন, “মধ্যস্থতাকারীদের ঘোষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি দায়বদ্ধ” হামাস।

দ্বিতীয়ত, ইসরায়েলের অতি ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-জিভির বলেছিলেন, নেতানিয়াহুর সরকার যদি যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সমর্থন করে তাহলে তিনি পদত্যাগ করবেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, এই চুক্তি “বেপরোয়া” এবং “যুদ্ধের সকল অর্জনকে মুছে” দেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বৃহস্পতিবার বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে, ইসরায়েল ও হামাস সমর্থিত গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-মুক্তি চুক্তি রবিবার শুরু হওয়ার কথা ছিল এবং তা এইদিনই শুরু হবে।

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ বুধবার এই চুক্তি ঘোষিত হওয়ার পর যুদ্ধবিরতিকে জোরালোভাবে সমর্থন করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

–ভয়েজ অব আমেরিকা

পাঠক প্রিয়