Saturday, March 15, 2025

সপ্তাহে শীর্ষে

প্রাসঙ্গিক বার্তা

ইরানের তেল রপ্তানিকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বৃহস্পতিবার ইরানের তেল শিল্পের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ইরানের লক্ষ লক্ষ ব্যারেল জ্বালানি তেল চীনে পাঠানোর সুবিধা করে দেয়, তাদের লক্ষ্য করে এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট-এর অফিস অফ ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল বা ওএফএসি বলে যে, এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হচ্ছে সেপের এনার্জি, যাদের মাধ্যমে ইরানের আর্মড ফোর্সেস জেনারেল স্টাফ বা এএফজিএস’এর জাহাজে তেলের চালান পাঠানো হয়। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে চীন, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা এবং বেশ কিছু জলযানও।

দপ্তরটি বলছে যে এএফজিএস’এর অধীনে সেপের এনার্জি ও তার সঙ্গে সম্পৃক্ত কোম্পানিগুলি “এড়িয়ে যাবার জন্য প্রতারণামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করে” যার মধ্যে রয়েছে জাহাজ চলাচলের মিথ্যে নথিপত্র, যাতে করে এটা বোঝা না যায় যে এই তেলের উৎস হচ্ছে ইরান এবং যা তারা চীনসহ বিদেশি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়।

ওএফএসি বলে প্রতি বছর এই অবৈধ বানিজ্যে কোটি কোটি ডলার আয় করা হয় যা ইরান ওই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার কর্মকান্ডে এবং হামাস, হুথি ও হেজবুল্লাহর মত একাধিক আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে অর্থায়ন করে থাকে।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘে ইরানের মিশন মন্তব্যের জন্য রয়টার্স’এর অনুরোধে তাৎক্ষণিক সাড়া দেয়নি।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি বা অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন ইরান তার পারমণবিক কর্মসূচীর উন্নয়নের জন্য এবং প্রাণনাশী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক ড্রোন উৎপাদনের জন্যও এই অর্থ ব্যবহার করছে।

তিনি বলেন,“এই সব অপকর্মের জন্য ইরানের অর্থ সংগ্রহের যে কোন প্রচেষ্টাকে প্রচন্ড ভাবে লক্ষ্যবস্তু করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রতিবদ্ধ।”

পৃথক আরেক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন ইরানের ধ্বংসাত্মক ও অস্থিতিশীল করার এই আচরণকে যুক্তরাষ্ট্র বরদাশত করবে না।

তিনি বলেন, “তাদের অস্থিতিশীল করার কর্মকান্ড ও সভ্য জগতের জন্য হুমকিস্বরুপ পারমানবিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টার জন্য তাদেরকে জবাবিদিহিতার আওতায় আনতে আমরা হাতে যত উপায় আছে, সব ব্যবহার করবো।”

এ সপ্তাহে আরও আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন যাতে তেহরানকে তার পারমাণবিক কর্মসূচী থেকে বিরত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরান বলেছে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে তাদের এই পারমাণবিক কর্মসূচী।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি ও রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।

–ভয়েজ অব আমেরিকা

পাঠক প্রিয়