Skip to content

আর এসএসের উর্দি পরে অভিষেকের সাথে কথা বলা যুবক আসলে তৃণমূলের বুথ কর্মী, আসল পরিচয় সামনে আনলেন সুকান্ত

আর এসএসের উর্দি পরে অভিষেকের সাথে কথা বলা যুবক আসলে তৃণমূলের বুথ কর্মী, আসল পরিচয় সামনে আনলেন সুকান্ত

আমাদের ভারত, ১৬ মে:
তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে রায়নায় গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর যাওয়ার পথে এক যুবক অভিষেকের গাড়ির একেবারে কাছে চলে আসেন। সেই যুবক জানান সে আরএসএস করে।

এরপর ওই যুবক অভিযোগ করেন তাদের এলাকায় পথের আলো জ্বলে না। বিডিও অফিসে বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি।বিজেপি নেতাদের বলেও কোনও কাজ হয়নি। সব শুনে অভিষেক তাকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। কিন্তু সেই আরএসএস কর্মী আসলে ভুয়ো। সবটাই সাজানো নাটক। ওই আর এস এস কর্মীর ভেকধারী আসলে তৃণমূলের কর্মী। হ্যাঁ এমনি বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি ওই যুবক ও অভিষেকের সাক্ষাৎ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন, ওই যুবকের নাম উজ্জ্বল খাঁ। তিনি আসলে রায়নার জতুশ্রী গ্রামের তৃণমূল বুথ কমিটির সদস্য। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন, “পলিটিক্যাল স্ট্যান্ট বাজিতে ন্যূনতম সত্যতা থাকা উচিত। আর কতদিন এভাবে মানুষকে বোকা বানাবেন?”

প্রসঙ্গত, অভিষেক বলেছিলেন, “আমি জামালপুরের ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে রায়নার দিকে আসছিলাম। খুব বেশি হলে ৩০-৩৫ কিলোমিটারের রাস্তা। গাড়িতে আমার এখানে আসতে এত সময় লাগতো না। আধঘন্টা সময় লাগার কথা। সেখানে আমার দু ঘন্টা থেকে আড়াই ঘণ্টা লেগেছে। কারণ রাস্তার চারিদিকে মানুষ। অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। এরপরই অভিষেক বলেন, আসার সময় এক যুবকের সঙ্গে কথা হলো যে আরএসএস করে। আর এস এসের উর্দিতে সেই বিজেপি কর্মী এসে বলল, দাদা আমি বিজেপির কার্যকর্তা। আমাদের এখানে একটা ল্যাম্পপোস্টের দরকারএখানে লাইটের খুব প্রয়োজন। ব্যবস্থা করে দেবেন। আমি বললাম তুমি আবেদন জমা দাও। আমি আমার সীমাবদ্ধ এখতিয়ারের মধ্যে যা আছে করব। আপনি দেখুন বিজেপির একজন কার্যকর্তা সে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, মোদীর কাছে যাচ্ছে না অমিত শাহের কাছে যাচ্ছে না। কারণ সমাধান যদি কেউ করতে পারে তাহলে তা শুধুমাত্র তৃণমূলই করতে পারে।

এই ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে, সাংবাদিকদের সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা সাজানোর নাটক করেছে। সংঘের স্বয়ংসেবক হলে সে জানতো কীভাবে ইউনিফর্ম পরতে হয়। এটা ছবি দেখে করা পিকের স্ক্রিপ্ট। টুপিটাও ঠিক করে পড়তে পারেনি। যারা সংঘের স্বয়ং-সেবক তারা জানে দুপুরবেলায় কেউ ওই গণবেশ পরে ঘুরে বেড়ায় না।” এরপরই একে বারে ওই যুবকের আসল পরিচয় সামনে আনলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।

বার্তা সূত্র