বদলে গেছে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা। আগের চেয়ে ‘দশমিক ৮৬ মিটার’ উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার ঘোষণা যৌথভাবে দিল নেপাল ও চীন। ২০১৬ সালে যখন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নেপালে সফরে আসেন, তখনই এভারেস্টের উচ্চতা মাপার বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে। এরপরই দুদেশের দীর্ঘ চেষ্টায় বেরিয়ে আসলো নতুন পরিসংখ্যান।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে এভারেস্টের উচ্চতা ৮৮৪৮.৮৬ মিটার বা ২৯০৩.৬৯ ফিট। এক যৌথ বিবৃতিতে নতুন উচ্চতাকে বিশ্বের জন্য ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অ্যাখা দিয়েছে দুদেশ।
বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গের উচ্চতা নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মতবিরোধ চলছিল নেপাল ও চীনের। ১৯৭৫ এবং ২০০৫ সালে এভারেস্টের উচ্চতা প্রকাশ করেছিল চীন। চীনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ওই দুবার এভারেস্টের উচ্চতা দাঁড়ায় ৮৮৪৮.১৩ মিটার এবং ৮৮৪৪.৪৩ মিটার।
বেইজিং-এর পরিসংখ্যান মেনে নেয়ার জন্য কাঠমাণ্ডুকে চাপ দেয়া হয় বলে অভিযোগ করে নেপাল। নেপাল সরকারের কর্মকর্তারা চীনের পক্ষ থেকে চাপ দেয়ার বিষয়টি ২০১২ সালে বিবিসির কাছে প্রকাশ করে।
তবে, এবার উভয় দেশের বিশেষেজ্ঞ জরিপকারীরা সমন্বয় করে নতুন উচ্চতার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জরিপ বিভাগের কর্মকর্তারা। একই সুরে কথা বললেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও।
নেপালের জরিপ বিভাগের এক মুখপাত্র বলেন, ‘বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা নিয়ে এর আগে কখনো চীন-নেপাল একমতে পৌঁছাতে পারেনি।’
শি জিনপিং নিজের চিঠিতে জানান, দুদেশ যৌথভাবে ঘোষণা করছে যে এভারেস্টের উচ্চতা ৮৮৪৮.৮৬ মিটার। এটি বেইজিং-কাঠমাণ্ডুর বন্ধুত্বের চুড়ো বলে জানান তিনি।
মাউন্ট এভারেস্টে চীন এবং নেপালের সীমান্তে অবস্থান করায় দুদিক থেকেই উঠতে পারেন পবর্তারোহীরা।
২০১৫ সালে মাউন্ট এভারেস্টে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এরপর নতুন করে এর উচ্চতা মাপার প্রশ্ন সামনে আসে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৫ সালে কম্পনের পরই সমগ্র হিমালয় পর্বতমালায় বিপুল পরিবর্তন আসে। সেই সময় বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছিলেন ভূমিকম্পের জেরে বদল আসতে পারে হিমালয়ের পর্বতশৃঙ্গগুলির উচ্চতায়।