‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত গোপন বন্দিশালাগুলোর মধ্যে তিনটি পরিদর্শনের পর এগুলোকে ‘ভয়াবহ ও অবিশ্বাস্য’ বলে বর্ণনা করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, “বর্ণনা করতে চাইলে বলা যায়, সে এক ভয়াবহ দৃশ্য! সেখানে যা ঘটেছে সবই ছিল ভয়াবহ। আমি যা শুনেছি তা অবিশ্বাস্য!”
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকর্মী এবং কয়েকজন উপদেষ্টাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ‘আয়নাঘর’ (বন্দিশালা) পরিদর্শন করেন। এসব বন্দিশালা আয়নাঘর নামে পরিচিত।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনার আমলে ৮ থেকে ৯ বছরে নিরাপত্তা বাহিনী আয়নাঘর ও গোপন বন্দিশালায় হাজার হাজার ব্যক্তিকে গুম করে আটকে রেখেছিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আদিলুর রহমান খান, আসিফ মাহমুদ, মাহফুজ আলম ও নাহিদ ইসলাম প্রমুখ।
ঢাকার আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরা এলাকায় অবস্থিত আয়নাঘর ও টর্চার সেল পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য, ভুক্তভোগী, দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের সদস্যরা।
প্রধান উপদেষ্টাকে আগারগাঁওয়ের একটি টর্চার সেলে ব্যবহৃত ‘ইলেকট্রিক চেয়ার’ দেখানো হয়।
টর্চার সেল ও গোপন কারাগার পরিদর্শনের সময় গুমের শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে কথাও বলেন প্রধান উপদেষ্টা।