শহরের মানুষকে আদিবাসীদের বৈচিত্র্যময় খাবার ও শস্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘আদিবাসী খাদ্য ও শস্য মেলা’।
মিরপুর ১৩-তে বনফুল আদিবাসী গ্রিনহার্ট কলেজ প্রাঙ্গনে এই মেলা চলবে ২০ ও ২১ ডিসেম্বর।
মেলার আয়োজক ‘নাগরিক উদ্যোগ’ ও ‘মহা প্রজ্ঞা এডুকেশন ট্রাস্ট’ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সেখানে বলা হয়, মেলায় বাহারী আদিবাসী খাবারের স্বাদ নেওয়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আয়োজনও থাকছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মেলায় গান শোনাবে আদিবাসী নারীদের ব্যান্ড ‘এফ মাইনর’।
‘মহা প্রজ্ঞা এডুকেশন ট্রাস্টের’ সদস্য ধীরেন মাহাতো বলেন, “আমাদের দেশে বহুত্ববাদী সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবার। এই বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবারের সাথে দেশের বাঙালি জনগণের খাদ্যাভাসের মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য মেলার মাধ্যমে তারা সেই প্রয়াস চালাচ্ছেন।”
মেলায় যা থাকবে
আদিবাসীদের ঐতিহ্যমণ্ডিত তেল ও মসলামুক্ত খাবারের অনেকগুলো স্টল থাকছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
সে সবের মধ্যে পাহাড়ের জনপ্রিয় ‘ব্যাম্বু শুট’, কলা পাতায় রান্না করা বিভিন্ন পদের ‘হেবাঙ’, পাহাড়ি মুরগি ও কাপ্তাই হ্রদের মাছসহ নানা ধরনের জুমিয়া সবজির পদ থাকবে।
এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের জনপ্রিয় খাবার ‘পাজনের’ স্বাদ নিতে পারবেন মেলায় আসা দর্শনার্থীরা।
সমতলের আদিবাসীদের বৈচিত্র্যময় খাবারের পসরা সজিয়ে বসবেন মনিপুরী, গারো ও রাখাইনরা। কালো ও সাদা বিনি চাউলের বিভিন্ন প্রকার মুখরোচক পিঠাও রাখা হবে মেলায়।
থাকছে নানা ধরণের ‘মুন্ডি’। বিশেষ আকর্ষণ থাকছে পাহাড়ের ‘বাঁশের হুক্কা’, যা ‘বাঁশ দাবা’ নামে বেশি পরিচিত। রাখা হবে নানা প্রকার টাটকা ফলের ঝাল আইটেম; এই ঝাল আইটেম ‘লাকসো’ নামে অধিক পরিচিত।
এছাড়া শাকসবজি, ফলমূল, বৈচিত্র্যপূর্ণ নানা জাতের কৃষিপণ্যের সমাহার এবং শুঁটকির পসরা নিয়ে অনেক উদ্যেক্তারা উপস্থিত হবেন।
আয়োজকদের একজন রেলী চাকমা বলেছেন, ফেইসবুকে মেলার স্টল বরাদ্দের বিষয়টি প্রচার হওয়ার পর থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পাবর্ত্য অঞ্চলের পাশাপাশি সমতলের মান্দি, মনিপুরী ও রাখাইনদের অনেক উদ্যোক্তা ইতোমধ্যেই স্টলের জন্য বুকিং দিয়েছেন।