বুধবার সকালে মুম্বই পুলিশের এক্স হ্যান্ডেলে (আগে নাম ছিল টুইটার) করা একটি পোস্ট ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। সেখানে ওয়াংখেডের ম্য়াচে বড় সড় নাশকতার হুমকি মেসেজে এসেছে বলে জানান পুলিশ কর্তারা। পাশাপাশি, আরও আঁটোসাঁটো করা হয় স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এদিন মুম্বই পুলিশের তরফে করা পোস্টে বলা হয়েছিল, ‘অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি আমাদের ট্যাগ করে এক্স হ্যান্ডেলে একটি মেসেজ দিয়েছেন। সেখানে ওয়াংখেডে স্টেডিয়ামে ভারত-নিউ জিল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচ চলাকালীন হামলার হুঁশিয়ারি দেয় সে। তাই স্টেডিয়াম ও তার আশপাশ এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। হুমকি মেসেজের পাশাপাশি একটি ছবিও পোস্ট করেছে অভিযুক্ত। তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড ও বুলেট হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।’
উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্বকাপের ফাইনালে হামলার হুমকি এসেছিল খালিস্তানি জঙ্গি তথা নিষিদ্ধ শিখ ফর জাস্টিস গ্রুপের শীর্ষ নেতা গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনের থেকে। বিদেশে বসে একের পর এক ভিডিয়োয় হুঁশিয়ারি দিয়েছে সে। গত মাসের মাঝামাঝি প্রথমবার হুঁশিয়ারি দেন খালিস্তানি পান্নুন। ১৯ নভেম্বর বিশ্বকাপ ফাইনালের দিন অহমেদাবাদের ওয়াংখেডে স্টেডিয়ামে হামলা চালানো হবে বলে ওই ভিডিয়োয় বলেছিল সে।
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয়বার সামনে আসে পান্নুনের হুমকি ভিডিয়ো। সেখানে সে ১৯ তারিখ শিখ ধর্মাবলম্বীদের এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে না চড়ার পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা ও তার নাম বদলের কথাও বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। ওয়াংখেডেতে নাশকতার হুঁশিয়ারি দেওয়া ধৃতের রয়েছে খালিস্তানি যোগ? নাকি নেপথ্যে পাক গুপ্তচর ও জঙ্গি সংগঠনগুলির হাত? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, হুমকি মেসেজে আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড ও বুলেট দেখা গেলেও ধৃতের থেকে এখনও কিছু বাজেয়াপ্ত করতে পারেনি মুম্বই পুলিশ। অভিযুক্তকে জালে তুললেও স্টেডিয়ামের নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখছেন না মুম্বই পুলিশ। IND vs NZ Threat Message: ভারত-নিউ জিল্যান্ড সেমিফাইনালে নাশকতা? হুমকি মেসেজ ঘিরে তুলকালাম
পাশাপাশি, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন-সহ শহরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মোতায়েন রাখা হয়েছে উর্দিধারীদের। হাইভোল্টজে এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে চড়ছে পারদ। সকাল থেকেই স্টেডিয়ামের সামনে ভিড় জমতে শুরু করেছে। তাঁদের ভালোভাবে পরীক্ষা করে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে, জানিয়েছেন মুম্বইয়ের পুলিশ কর্তারা।