Skip to content

‘অমানবিক, বিবেকহীন, নিষ্ঠুর’, শুভেন্দুর কনভয়ের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু নিয়ে বিজেপি নেতাকে বেলাগাম তোপ অভিষেকের » Khabor24x7

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের এক যুবকের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে উত্তাল ওই এলাকা। আর এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি নেতারা এই ঘটনায় সেভাবে কিছু প্রতিক্রিয়া না দিলেও, শুভেন্দুকে ছেড়ে কথা বলে নি তৃণমূল। এই ঘটনার তদন্তের আওতায় শুভেন্দুকে আনার দাবী তুলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এবার মুর্শিদাবাদের সভা থেকে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে শুভেন্দুকে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ, শনিবার মুর্শিদাবাদের রানিনগরে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে জেলা সফরে গিয়ে জনসভা করেন অভিষেক। সেই সভা থেকেই তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতার গাড়ি একজনকে পিষে দিয়ে চলে গেল। দুর্ঘটনার পর যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে তাঁর গাড়ি ১০০ কিলোমিটার/ঘণ্টায় দ্রুতগতিতে চলে গেল! তাহলে ভাবুন, এরা ক্ষমতায় থাকলে কী না কী করত”। প্রসঙ্গত,  এই ঘটনায় ঘাতক গাড়ির চালক আনন্দ পাণ্ডা আজ জামিনে মুক্ত হয়েছে।

শুভেন্দুকে দেগে অভিষেকের বক্তব্য, “এই যে পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় একজনকে ধাক্কা দিল। তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তিনি এত অমানবিক, নিষ্ঠুর, নির্দয়, বিবেকহীন যে সেই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে উনি ১০০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি নিয়ে চলে গেলেন! এই লোকটা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ভাবুন তো, এরা ক্ষমতায় থাকলে কী করত”?

অন্যদিকে আবার, আজই ডিএ আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদে সামিল হয়ে শুভেন্দু বলেন, “কোথাও কোনও দুর্ঘটনা, মৃত্যু হলে আমায় খবর দেবেন। মৃতদেহ নিয়ে পৌঁছে যাব কালীঘাটে”। তাঁর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে পালটা প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।

তিনি বলেন, “ওঁর কনভয়ের ধাক্কায় যে মৃত্যু হয়েছে, তা তো স্পষ্ট। মৃতের স্ত্রীও একই অভিযোগ করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা সকলে তাই বলছেন। তাহলে তাঁরা সবাই কি মিথ্যে বলছে? একটা মৃত্যুতে দায় স্বীকার দূরঅস্ত, অমানবিক আচরণ করেছেন। এর নিন্দা জানাই”।

বার্তা সূত্র