Skip to content

অন্ধ আনুগত্যভিত্তিক ‘কাল্ট’ সংগঠনগুলোতে লোকে যোগ দেয় কেন? – BBC News বাংলা

অন্ধ আনুগত্যভিত্তিক 'কাল্ট' সংগঠনগুলোতে লোকে যোগ দেয় কেন? - BBC News বাংলা

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

কাল্ট মানে একটি “ধর্মীয় বা প্রায়-ধর্মীয় গোষ্ঠী ” – যা কোন একজন গুরু বা নেতার প্রতি চরম বিশ্বাস ও আনুগত্য-ভিত্তিক সংগঠন

সম্প্রতি কেনিয়ায় একজন খ্রিস্টান ধর্মগুরুর অনুসারীরা “যীশুর সাথে সাক্ষাৎ না হওয়া পর্যন্ত” অনশনের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে অন্তত ৯০ জনের না-খেয়ে মারা যাবার এক ঘটনা সারা দুনিয়ার সংবাদ মাধ্যমে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। কেনিয়ার পুলিশ উপকূলীয় মালিন্দি শহরের কাছ থেকে কবর খুঁড়ে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। কিন্তু মানুষ কেন এরকম বিপজ্জনক অন্ধ আনুগত্য-ভিত্তিক গোষ্ঠী বা ‘কাল্ট’-এর সদস্য হয়?

কেনিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি বলছে, গুড নিউজ ইন্টারন্যাশনাল চার্চ নামে একটি খ্রিস্টান উপগোষ্ঠীর ধর্মগুরু পল ম্যাকেঞ্জি এনেথেঙ্গে তার অনুসারীদের “খ্রিস্টের সাথে সাক্ষাৎ না হওয়া পর্যন্ত” অভুক্ত থাকতে বলতেন।

ঐ ধর্মগুরু স্থানীয় তিনটি গ্রামের নামও দিয়েছিলেন বাইবেলে বর্ণিত এলাকার নামে – নাজারেথ, বেথলেহেম এবং জুদেয়া।

তার অনুসারীদের স্থানীয় একটি পুকুরের পানিতে ‘পূত-পবিত্র’ হয়ে তাদেরকে অনশন শুরুর নির্দেশ দিতেন তিনি।

উপকুলীয় মালিন্দি শহরের কাছে শাকাহোলা জঙ্গলে একটি কবরে পাঁচ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই শুরু হয় তদন্ত। এর পর একে একে পাওয়া যেতে থাকে অনশনে মৃত্যুবরণের সাথে সম্পর্কিত মৃত ব্যক্তিদের কবরের সন্ধান।

গত কয়েকদিনে এসব কবর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে – যার মধ্যে অনেকগুলোই শিশুদের।

গত ১৫ই এপ্রিল পুলিশ মি. এনথেঙ্গেকে আটক করে।

মি. ম্যাকেঞ্জি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন ২০১৯ সালে তিনি তার গির্জা বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু আদালত তাকে জামিন দেয়নি।

উদ্ধার করা মরদেহগুলোর ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা দেখা হচ্ছে যে সত্যিই না খেয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছিল কিনা।

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

কেনিয়ায় একজন খ্রিস্টান ধর্মগুরুর প্রায় ৯০ জন অনুসারী আমৃত্যু অনশনে মারা যায়

কোন ‘কাল্ট’ হয়তো আপনার আশপাশেই আছে’

বলা হচ্ছে যে কেনিয়ার একটি খ্রিস্টান উপদলের প্রধান মি. এনথেঙ্গে হচ্ছেন এমন একজন ধর্মগুরু – যিনি তার অনুসারীদের মনে অন্ধ বিশ্বাস ও আনুগত্য সৃষ্টি করেছিলেন এবং তা এক বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে গিয়েছিল।

এরকম কোন একজন গুরু বা নেতার প্রতি অন্ধ বিশ্বাস ও আনুগত্য-ভিত্তিক সংগঠনকে বলা হয় কাল্ট।

গুরুর কথায় প্রভাবিত হয়ে অনশনে এতগুলো মানুষের মারা যাওয়া থেকে এটা স্পষ্ট যে মি. এনথেঙ্গের ‘গুড নিউজ ইন্টারন্যাশনাল চার্চ’ একটা চরম প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল।

এ থেকে আরো বোঝা যায় এ ধরনের সংগঠন কত বিপজ্জনক হতে পারে।

“আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, দেখা যাবে যে আপনার কাছাকাছিই কোথাও একটা-না-একটা কাল্টের অস্তিত্ব আছে” – বলছেন ড. আলেক্সান্ড্রে স্টাইন, যিনি যুক্তরাজ্যভিত্তিক একজন মনোবিজ্ঞানী। আদর্শগত উগ্রপন্থা এবং অন্যান্য বিপজ্জনক সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ে তিনি একজন বিশেষজ্ঞ।

গুড নিউজ ইন্টারন্যাশনাল চার্চের মত গোষ্ঠী সারা পৃথিবী জুড়েই আছে এবং এগুলোর সবই যে ধর্ম-ভিত্তিক সংগঠন – তা মোটেও নয়।

তবে এসব সংগঠনের একটি অভিন্ন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে – এদের অনুসারী আকর্ষণ করার ক্ষমতা। তা ছাড়া কেউ যদি একবার এগুলোর সদস্য হয়, তাহলে তা ত্যাগ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।

কাল্ট কী?

আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল এসোসিয়েশনের (এ পি এ) সংজ্ঞা অনুযায়ী কাল্ট মানে এমন একটি “ধর্মীয় বা প্রায়-ধর্মীয় গোষ্ঠী “- যার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অ-স্বাভাবিক বা গতানুগতিক-নয় এমন কিছু বিশ্বাস, বাইরের বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্নতা এবং একটি স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামো।

কাল্টগুলো প্রায়ই ধর্মীয় প্রকৃতির হয় – তবে রাজনীতির মত অন্যান্য বিষয়ের ওপর নির্ভর করেও গড়ে উঠতে পারে।

“কাল্টরা শুধুই ধর্ম-ভিত্তিক এবং চরমপন্থী হয়ে থাকে – এমন বিশ্বাস আসলে অবাস্তব ধারণা” – বলছেন রিচার্ড টার্নার, যিনি বর্তমান এবং সাবেক কাল্ট সদস্যদের কাউন্সেলিং সহায়তা দিয়ে থাকেন।

“আপনি যেখানে চাকরি করেন সেখানেও কাল্টের মত পরিস্থিতি গড়ে উঠতে পারে যদি আপনাকে – ধরা যাক, অব্যাহতভাবে বাড়তি কিছু ঘন্টা কাজ করতে বাধ্য করা হয়” – বলেন তিনি।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, কিছু মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং গোষ্ঠী আছে যারা লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন কিছু কৌশল নেয় যার সাথে কাল্টের খুব মিল আছে।

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

গভীর ধর্মবিশ্বাসের কারণে কেনিয়ায় অনেক মানুষ প্রায়ই অনিয়ন্ত্রিত গির্জা এবং বিপজন্নক ধর্মগুরুদের খপ্পরে পড়ে (ফাইল ফটো)

কাল্টে যোগ দেয় কারা?

ড. স্টাইন বলছেন, যারা কাল্টের শিকার তাদের ব্যাপারে বিশেষত তাদের শিক্ষা ও সামাজিক দক্ষতা কতটুকু – তার বিচার করতে বসাটা ঠিক নয়।

“লোকে প্রায়ই মনে করে যে কেউ কাল্টে যোগ দেবার মানেই হলো সে আসলে নির্বোধ, বা তার কিছু একটা অভাব আছে – কিন্তু কাল্টগুলোর ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা যায় যে এর উল্টোটাই সঠিক।“

তিনি বলছেন, কাল্টের প্রধানরা “কর্মক্ষম ও বুদ্ধিমান লোকদে” নিয়োগ করতে চায় কারণ তারা ওই গোষ্ঠীতে আরো সম্পদ নিয়ে আসতে পারে।

“কাল্টরা এমন লোক চায় না যাদেরকে তাদের সেবাযত্ন বা দেখাশোনা করতে হবে।“

ড. স্টাইন আরো বলছেন, কাল্টগুলোকে ঘিরে এমন একটা কাল্পনিক ধারণা রয়েছে যে লোকে নিজে থেকেই এতে যোগ দেয়।

“তারা কিন্তু এমন কোন বিজ্ঞাপন দেয় না যে “আসুন, আমাদের সাথে যোগ দিন।“ বরং শুরুতে তাদের আবেদনটা থাকে খুবই নির্দোষ ধরনের ।

তবে ড. স্টাইন বলছেন, কেনিয়ায় যেরকম বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, কাল্টের মধ্যে এ ধরনের ট্রাজেডি সাধারণত ঘটতে দেখা যায়না।

“এমন নয় যে কাল্টের প্রধানরা শুরু থেকেই ভাবতে থাকেন যে তিনি তার সব সদস্যের মৃত্যু ঘটাবেন।“

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯০-এর দশকে একটি ধর্মীয় আন্দোলন গড়ে উঠেছিল যার নাম ‘হেভেন’স গেট’ বা স্বর্গের দরজা। ১৯৯৭ সালে এই গোষ্ঠীটি এমন এক ঘটনা ঘটায় যা আন্তর্জাতিক সংবাদ শিরোনাম হয়েছিল।

এ গোষ্ঠীর ৩৯ জন সদস্য একটি ‘আত্মহত্যার চুক্তি’ করে মারা যায় – কারণ তাদের বিশ্বাস ছিল ভিন গ্রহের বাসিন্দারা এসে তাদেরকে উদ্ধার এবং পুনরুজ্জীবিত করবে।

“এই কাল্টের নেতা ছিলেন মার্শাল অ্যাপলহোয়াইট। তার ধারণা ছিল যে তার ক্যান্সার হয়েছে এবং তার সব অনুসারীকে তিনি সাথে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন” – বলছেন ড. স্টাইন।

তিনি বলেন, কাল্টের মধ্যে আত্মহত্যা বা খুনের মত ঘটনা শুধু তখনই ঘটে – যদি এর নেতার মনে ওই বিশেষ সময়ে এমন কোন ভাবনা আসে ।

কাল্টের ক্ষেত্রে সাধারণতঃ যে বিপদ বেশি ঘটতে দেখা যায় তা হলো শোষণ এবং যৌন নির্যাতন সহ নিপীড়নমূলক আচরণ।

কাল্টের নেতারা এত শক্তিধর কেন?

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

যুক্তরাষ্ট্রের ‘হেভেন’স গেট’ কাল্টের নেতা মার্শাল অ্যাপলহোয়াইট

কাল্টের আচরণগুলো নিরীক্ষা করে ড. স্টাইন দেখেছেন যে এগুলোর নেতারা সবসময়ই আকর্ষণীয় এবং সম্মোহনী ব্যক্তিত্বের মানুষ হয়ে থাকেন।

প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এই নেতাদের উত্থান হয় একই ধরনের গোষ্ঠীর অভিজ্ঞতার ভেতর থেকেই। সেখানেই তারা শেখে – মানুষকে প্রভাবিত করার কৌশলগুলো কীভাবে কাজে লাগাতে হয়, কীভাবে অনুসারীদের তাদের চারপাশে জড়ো করতে হয়।

ড, স্টাইন বলেন, এভাবে তারা কৌশলগুলো শিখে নেয়, এবং আগের গোষ্ঠী ছেড়ে নতুন গোষ্ঠী গড়ে তোলে – যেখানে তারা নিজের মতো করে কাজ করতে পারে।

“কাল্টের নেতারা বোকা নয়। বরং তারা আসলে অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং শক্তিধর, কারণ একটি কাল্ট গড়ে তুলতে অনেক কিছু দরকার হয়।“

কাল্ট নেতারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষ ।

তবে নারী নেতাও যে নেই তা নয়। এরকম একজন হলেন ব্রাজিলের ভ্যালেন্টিনা ডে অ্যান্ড্রাডে – যাকে অতীন্দ্রিয় ক্ষমতার অধিকারী বলে মনে করা হতো।

তার নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর নাম ছিল “সুপিরিয়র ইউনিভার্সাল লিনিয়েজ” । ১৯৯০এর দশকে বেশ কিছু শিশু হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছিল তবে পরে তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

লোকে কাল্ট ছেড়ে যায় না কেন?

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

ব্রাজিলের ভ্যালেন্টিনা ডে অ্যান্ড্রাডেকে অতীন্দ্রিয় ক্ষমতার অধিকারী বলে মনে করা হতো।

টার্নার বলছেন, একজন লোক খুব সহজেই কাল্টের সাথে জড়িয়ে পড়তে পারেন।

তিনি বলছেন, এর কারণ কাল্ট নেতারা ‘লাভ-বম্বিং’ করতে খুবই দক্ষ – যাকে বলা যায় “অতিমাত্রায় স্নেহ-ভালোবাসা এবং মনোযোগ দেখিয়ে” একজন লোককে প্রভাবিত করে ফেলা।

টার্নার বলছেন, তার জীবনে এরকম প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা হয়েছে।

২০১৩ সালে তাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে একটি “হিপস্টার খ্রিস্টান” কাল্টের সদস্য বানানো হয়। সে সময় তিনি মানবপাচারের শিকারদের সাথে কাজ করতে একটি চাকরি খুঁজছিলেন।

“একজন লোক যতই সফল বা বুদ্ধিমান হোক না কেন – জীবনে কোন-না-কোন সময় একটা সমস্যা আসবেই – যেমন চাকরি হারানো, প্রিয়জনের মৃত্যু বা এরকম কোন আকস্মিক পরিবর্তন” বলছিলেন টার্নার।

এসব ঘটনায় মানুষের আত্মমর্যাদাবোধে একটা চিড় ধরে, তখন হযতো মাদকাসক্তির মত সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে। এমন সময় কোন কাল্টে জড়িয়ে পড়লে তা মানুষকে বন্ধু-আত্মীয়স্বজন থেকে আলাদা করে ফেলে, বলছিলেন তিনি।

“এরকম সময় আপনাকে ব্যবহার করা সহজতর হয়ে যায়” – বলেন টার্নার।

তিনি বলছেন, কাল্টের সদস্য থাকাকালীন একটা সময় এর প্রভাব তার জীবনে এত গভীর হয়ে পড়েছিল যে তিনি তার বেতনের অর্থটা পুরোটাই ওই সংগঠনকে দিয়ে দিতেন।

“আমি এটা ছেড়ে দিয়েছিলাম এ জন্যই যে আমার একটা বিরাট মানসিক বিপর্যয় ঘটেছিল, আর কোন অনুসারীর ক্ষেত্রে এমনটা ঘটলে সাধারণতঃ কাল্টগুলো তার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।“

কোন সংগঠন একটা ‘কাল্ট’ কিনা তা কিভাবে বোঝা যাবে?

ছবির উৎস, Richard Turner

ছবির ক্যাপশান,

রিচার্ড টার্নার একসময় একটি কাল্ট-এর সদস্য ছিলেন

কোন সংগঠন একটা ‘কাল্ট’ কিনা – টার্নারের মতে তা বোঝা সহজ নয়।

তবে ইন্টারনেটে একটা সাধারণ সার্চ দিয়ে খোঁজ করলেও হয়তো এ ব্যাপারে কিছু সূত্র পাওয়া যেতে পারে।

“কোন একটা গ্রুপ সম্পর্কে লোকে অনলাইনে কী বলছে তা খোঁজ করে দেখুন” – টার্নার বলছেন, “এমন কি কোন গ্রুপ নিজেও যদি এরকম কিছু লেখে যে ‘কেন তারা একটি কাল্ট নয়’ – তা হলে সাধারণত বুঝে নিতে হয় যে ‘তারা আসলে একটি কাল্ট বলেই এটা নিয়ে আলোচনা করছে।“

“তা ছাড়া আপনি যোগ দিয়েছেন এমন কোন গ্রুপ যদি আপনার বন্ধু এবং স্বজনদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে শুরু করে, আপনাকে যদি সংগঠনের কাজে আরো বেশি জড়িত করার চেষ্টা করে, অর্থ দাবি করে – তাহলে সাবধান হোন।“

একজন কাউন্সেলর হিসেবে টার্নার বলছেন, সবচেয়ে বেশি কার্যকর উপায় হলো আপনার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় কী বলছে – তা শোনা।

“আপনার মন যা বলছে তা বিশ্বাস করুন।“

ড. স্টাইন এবং টার্নার উভয়েই মনে করেন যে কাল্টের ব্যাপারে – কোন একটা রোগের মতই – ‘চিকিৎসা’র চাইতে ‘প্রতিরোধ’ অনেক সহজ।

তারা মনে করেন বিপজ্জনক গ্রুপ সম্পর্কে লোকজনকে শিক্ষিত করতে যথেষ্ট করা হচ্ছে না।

“বিশেষ করে যেসব গ্রুপ নিজেদের চার্চ হিসেবে প্রচার করে -তাদের নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে সরকারগুলোও দ্বিধায় থাকে।“

বার্তা সূত্র