
আমাদের ভারত, ২৭ জুলাই:
মণিপুর ইস্যুতে সরকারের নীরবতা ভাঙতে তারা এই পদক্ষেপ করেছেন। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার প্রসঙ্গে এমনটাই দাবি করেছেন বিরোধীরা। কিন্তু এই অনাস্থা প্রস্তাব বিরোধীদের জন্য বুমেরাং এ পরিণত হবে বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায় বিরোধীরাই তাদের ধোবি ধোলাই করার সুযোগ করে দিয়েছে।
মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছেন বিরোধীরা। সরকার এই ইস্যূতে আলোচনায় রাজি থাকলেও অমিত শাহ বিবৃতি দেবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু সেটা মানতে নারাজ বিরোধীরা। এরপর এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে তারা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। এই অনাস্থায় সরকার পরে যাওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা না থাকলেও তাদের দাবি, মণিপুর ইস্যুতে সরকারের নীরবতা ভাঙতে তারা এই পদক্ষেপ করেছেন। কিন্তু এবার এরই পাল্টা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বিরোধীদের এই অনাস্থা প্রস্তাব আখেরে তাদের জন্য বুমেরাং এ পরিণত হবে বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “এর ফলে সরকার পক্ষেরই লাভ হবে। আমরা সমস্ত কিছু তুলে ধরব। বাংলা তুলে ধরব, মালদা তুলে ধরব, কোচবিহার তুলে ধরবো। এদেরকে ধোবি ধোয়ার মতো ধোবো। ধোপা যেভাবে কাপড় ধোয় সেভাবে তৃণমূল সহ সমস্ত বিরোধী দলের ধোলাই হবে।
একই সঙ্গে সুকান্ত বলেন,” এই ধোলাই হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। লোকসভার ভেতরে ধোলাই হবে। ধোলাই বাক্যের মাধ্যমে, শব্দের মাধ্যমে । ”
এরপরই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় তাহলে কি তিনি এভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে থ্রেট দিচ্ছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত বলেন, “কোথা থেকে আমরা থ্রেট দেব? তৃণমূল কংগ্রেসই আমাদের থ্রেট দিচ্ছে। ৫ তারিখে আমাদের বাড়ি ঘেরাও করবে। আমাদের বাড়ির মানুষকে যাতনা দেবে, লাঞ্ছনা করবে, গঞ্জনা করবে।আমার অনেক কর্মীর বাড়ি পুড়িয়েও দেবে হয়তো। ” একই সঙ্গে তার তার হুঁশিয়ারি, ” আমরা সব রকম লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আমরা আগাম স্পষ্টভাবে বলে দিচ্ছি ৫ তারিখে কোনও বিজেপির কর্মীর বাড়ি যদি ভাঙ্গে বা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তার প্রতিকার ভারতীয় জনতা পার্টি এমন ভাবে করবে যে তৃণমূল কংগ্রেসকে মনে রাখতে হবে।”
গত দুদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন সুকান্ত ও শুভেন্দু। সেখানে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে, তিনি জানান , “অমিত শাহের সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী ২৪ এর আগের রোড ম্যাপ তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েতের রেজাল্ট আমরা পেয়েছি, এত হিংসার মধ্যেও এই ফল হয়েছে। বারবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশংসা করেছেন। আমাদের কার্যকর্তারা এত ভালো লড়াই দিয়েছে এই পরিস্থিতিতেও। এবার ২৪ এর জন্য আমরা ফিফ্থ গিয়ারে যাওয়া শুরু করছি। ” তার দাবি, আবার ভারতবর্ষে মোদী সরকার গঠিত হবে। ভারতবর্ষের উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে যাওয়ার যাত্রা শুরু হবে।”
বড়সড় সাংগঠনিক রদবদলের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সাংগঠনিক রদবদল একটি কন্টিনিউয়াস প্রসেস। আমাদের মন্ডল স্তরে রদ বদল চলছে। এরপরে জেলার স্তরে রদবদল হতে পারে। রাজ্য স্তরেও রদবদল হতে পারে প্রয়োজন হলে।” কিন্তু তিনি পরিস্কার করে দেন, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে এই সাংগঠনিক রদবদলের কোন যোগাযোগ নেই। কারণ অমিত শাহ সংগঠন দেখেন না। সংগঠন দেখেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং সম্পাদক বি এল সন্তোষ। কার্যত এই বিষয়গুলো তাদের দেখার বিষয়।