ইসরায়েলের জরুরিকালীন পরিষেবা বিভাগ বলেছে, ইসরায়েলি অধিকৃত-পশ্চিম তীরে একটি বাস ও গাড়িতে সোমবার বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়েছে এবং এর ফলে কমপক্ষে তিনজন নিহত ও আরও সাতজন আহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি শহর আল-ফুন্দুকের কাছে এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা হামলাকারীদের খুঁজছে এবং ব্লকেড দিয়ে এই এলাকার গ্রামগুলিকে ঘিরে রাখছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিহতদের জন্য শোকপ্রকাশ করেছেন ও সমবেদনা জানিয়েছেন এবং এই হামলার জন্য যারা দায়ী তাদের খুঁজে বের করতে অঙ্গীকার করেছেন।
নেতানিয়াহু এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে বলেছে, “কেউ ছাড় পাবে না।”
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলার ফলে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, এই সময়কালে ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে ও ইসরায়েলি বসতিস্থাপনকারীদের হামলায় পশ্চিম তীরে কমপক্ষে ৮১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনিরা কয়েক ডজন ইসরায়েলিকে হত্যা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সোমবার বলেছেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দফতর ছাড়ার আগে গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতি অর্জন করতে চাইছে ওয়াশিংটন।
তবে, ব্লিংকেন বলেছেন, এর মধ্যে যদি কোনও চুক্তি না হয়, তিনি “আত্মবিশ্বাসী যে, এটি কোনও এক সময়ে সম্পূর্ণ হবে; আশা করি শীঘ্রই।”
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চুক্তির মধ্যস্থতা করতে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতার কয়েক মাস ধরে কাজ করেছে, তবে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য যুদ্ধরত পক্ষগুলি তাদের আরোপিত শর্তাবলি মেনে নিতে আগ্রহ দেখায়নি।
প্রস্তাবিত এই চুক্তির প্রাথমিক শর্তগুলির মধ্যে রয়েছে গাজায় লড়াই স্থগিত করা, ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক ত্রাণের বৃদ্ধি এবং হামাস জঙ্গিদের হাতে এখনও আটক জিম্মিদের মুক্তি।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্য কিছু দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।