জনগণকে সঙ্গে নিয়ে, সুসংগঠিতভাবে প্রতিটি এলাকায় অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে, আওয়ামী লীগের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সভানেত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে, আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, “এখন শুধু ঢাকা শহরে নয়, দেশের সব অঞ্চলে এই অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।” অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে জনগণের জানমালের সুরক্ষা দিতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “তারা (বিএনপি-জামায়াত) যদি কোনো জায়গায় অগ্নিসংযোগ করে, তাহলে আপনাদের সেখানে কতজন বিএনপি বা জামায়াতের লোক আছে তা খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে হবে।”
তিনি বলেন যে জনগণের জানমালের সুরক্ষা নিশ্চিত করা তার দলের দায়িত্ব। শেখ হাসিনা তার দলের সব নেতা-কর্মীকে এমনভাবে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত একজন অপরাধীও ছাড়া না পায়।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের কিছুই নেই। আমাদের কোনো পরামর্শদাতা নেই (মুরুব্বি)। আমাদের বাংলাদেশের জনগণ আছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
সরকারের কোনো কৌশল আন্দোলন দমন করতে পারবে না: রুহুল কবির রিজভী
এদিকে, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শুক্রবার (৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছেন, “বর্তমান সরকারের পতন আসন্ন। বিরোধী দলের চলমান এক দফা আন্দোলন দমনে তাদের কোনো কৌশল কাজ করবে না।” তিনি আরো বলেন, “অবরোধ কর্মসূচিতে ভীত হয়ে সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে, রিমান্ডে নিয়ে নিপীড়ন চালাচ্ছে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন রুহুল কবির রিজভী। বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল এবং জনগণের সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং, আন্দোলন দমনে আপনাদের (সরকারের) কোনো কৌশল সফল হবে না।”
তিনি আরো বলেন, “গণহারে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিএনপির নেতৃত্ব দুর্বল করা যাবে না। যিনি কারাগার থেকে বের হবেন তিনিই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি আদায়ে জনগণ বদ্ধপরিকর। এই অবৈধ সরকারের শিগগিরই পতন ঘটবে।”
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার একতরফাভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য তারা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কারারুদ্ধ করছে।”
রিজভী অভিযোগ করেন, “ফ্যাসিবাদী সরকার বিএনপির নেতৃত্ব নির্মূল করতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। জ্যেষ্ঠ নেতাদের ৮/১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হচ্ছে। সরকার ভেবেছিলো, এভাবে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হলে বিএনপির আন্দোলন দমন করা হবে।”